করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফাইজার-বায়োটেক এবং মডার্নার বুস্টার ডোজ উচ্চ স্তরের সুরক্ষা প্রদান করে। তবে বুস্টার ডোজের কার্যকারিতা চার মাস পর্যন্ত থাকে। পরে সেটি সময়ের সাথে সাথে হ্রাস পেতে পারে। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।খবর সিএনএনের।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের অগাস্ট থেকে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহ করেছে সিডিসি। এতে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া দুই লাখ ৪১ হাজার ২০৪ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৩ হাজার ৪০৮ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
গবেষণায় টিকা দেওয়া ও টিকাবিহীন রোগীদের করোনায় সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণ করে টিকার কার্যকারিতা অনুমান করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণকালে বুস্টার ডোজ নেওয়ার দুই মাস পর যারা কোভিড সম্পর্কিত জরুরী বিভাগ বা জরুরী পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন তাদের দেহে টিকার কার্যকারিতা ছিল ৮৭ শতাংশ। কিন্তু চতুর্থ মাসে এই কার্যকারিতা ৬৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
বুস্টার নেওয়ার প্রথম দুই মাসের মধ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা ছিল ৯১ শতাংশ। কিন্তু চতুর্থ মাসে এটি ৭৮ শতাংশে নেমে আসে।
পরিশেষে বলা হয়েছে, ‘এমআরএনএ টিকার মাধ্যমে পাওয়া সুরক্ষা তৃতীয় ডোজ পাওয়ার কয়েক মাস পরে কমতে থাকার বিষয়টি সুরক্ষা বজায় রাখতে বা বাড়াতে অতিরিক্ত ডোজ নেওয়ার গুরুত্বকে জোরদার করে। ’
সূত্র: সিএনএন